আজব তো – ১। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি

আপনারা যারা এটা পড়ছেন তারা নিশ্চয়ই মোবাইল / পিসি ব্যবহার করছেন । যদি পিসি ব্যবহার করে থাকেন(মোবাইল হলে কল্পনা করতে পারেন সমস্যা নাই) তাহলে এখনি প্যাইন্ট অ্যাপ্লিকেশনে ঢুঁকে যান যতটুকু জোম করা যায় করুন তারপর সবচেয়ে চিকন ড্রয়িং টোল দিয়ে ছোট একটি সরল রেখা টানুন । কি পেলাম একটা সরল রেখা, এবার জোম আউট করতে থাকেন । এক সময় এই সরল রেখাটাকয়েই একটা বিন্দু মনে হবে । তাই নয় কি? আবার ওই ছবিটা প্রিন্ট করে যদি চিন্তা করি ওই বিন্দুটার জায়গায় অনেক ভাইরাস রয়েছে তাহলে ভাইরাসের কাছে সেটা কিন্তু বিশাল একটা জায়গা। এবার আবার সেই সরল রেখায় ফিরে যাওয়া যাক । আমরা যদি এটাকে জ্যামিতির দিক দিয়ে বলি এটা একটা সমকোণী ত্রিভুজ বলা যায় কিন্তু । এখন প্রশ্ন হলো কীভাবে? যদি বলি এর লম্ব = ০ এবং Θ = ০ তাহলে অতিভুজ আর ভূমি এক ।giphy (1) তাহলে আমরা একটা সরল রেখাকে ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে পারছি কিন্তু আমরা মূলত একটা কোণ থেকেই দেখি । আমরা যদি আলাদা আলাদা ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা দৃষ্টিকোণ থেকে দেখি তাহলে আমরা এই বিশ্বটাকেই বদলে দিতে পারি । তবে আসল কথা হলো আমরা করি না বরং সব সময় চেষ্টা করি সবচেয়ে বাজে কোণ থেকে দেখার । আশা করছি উদাহারণ দেয়ার প্রয়োজন নেই কারণ আমরা খুব ভালো করেই জানি ।  যখন আমরা রাস্তা দিয়ে হেটে যাই তখন অনেক ভিক্ষুকদের দেখতে পাই আমরা যখন তাদের দেখি তখন চিন্তা করি যে তারা আমাদের মতো না তারা নিম্ন শ্রেণীর কিন্তু আমরা চাইলে এভাবেও চিন্তা করতে পারতাম যে তারা আমাদের মতো রক্ত মাংসের মানুষ । আমরা যেমন চাইলেই অন্য একজন মানুষকে গালিগালাজ করতে পারি না তেমনি তাদেরও পারি না । এই ধরনের চিন্তা ভাবনা করলেই আমরা সুন্দর একটা সমাজ গড়তে পারব । অঙ্কে তো অনেক সমতা বিধান করলাম এবার চলুন সমাজে সমতা বিধান করি । এই দৃষ্টিকোণ পরিবর্তন শুধু সমাজের জন্য না নিজের জন্যও কাজে আসবে যেমনঃ- কয়েকটা কাজ দেওয়া হলো এর মধ্যে একটা কাজ একটু কঠিন আরেকটা একটু সহজ তবে কঠিন কাজটায় সফল হলে লাভ হবে সহজ কাজটার চেয়ে অনেক গুণ বেশি, আমরা সাধারণত চিন্তা করি যে ও আচ্ছা ওইটা memeকঠিন তাহলে সহজটা করি । আমরা কিন্তু এভাবেও দেখতে পারতাম সহজটা করলে লাভ কম হচ্ছে তাহলে কঠিনটা করি । সবশেষে একটাই কথা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলানো দরকার ।

ধন্যবাদ ।

©মনীষ চন্দ রুদ্র

4 thoughts on “আজব তো – ১। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি

Leave a comment